রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
রূপালী ডেস্ক।।
বরিশালে আল-আরাফা ব্রোকার হাউজের প্রতরনার ক্ষপ্পরে পড়ে ৪ শতাধিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী গ্রাহক তাদের কোটি কোটি টাকা মূলধন হারিয়ে সর্বশান্ত ও নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়াবার উপক্রম হয়েছে।
সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীর রয়েল মিনি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আল-আরাফা কর্তৃক কেপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস লিঃ নিগৃহিত ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীবৃন্দের ক্ষতিপূরণের দাবীতে শেয়ার বাজার সম্পকির্ত সম্পকে এ সংবাদ সম্মেলন করে।
এসময় লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বড় বড় শেয়ার কোম্পানীর কাছে বিক্রি করে দিয়ে নতুন ক্ষুদ্র বিনোয়োগকারীদের না জানিয়ে তাদের নামে নিম্নমানের শেয়ার কিনে আর্থিক গ্রস্থের পাশাপাশি গ্রাহকদের আবেদন ছাড়াই তাদের নামের একাউন্টে লোন বরাদ্ধ করে ঋনগ্রস্থ করে রেখেছে অলিখিতভাবে যা গ্রাহকরা যানেন না।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র বিনোয়োগকারীদের লোন স্থগিত করার ঘোষনা দেওয়ার পরও আল-আরাফা ব্রোকার হাউজ প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশ মানতে অপরগতা দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে লোন আদায়ের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠে এসেছে।
অপরদিকে করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্ধ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া প্রনদনার টাকাও বিনিয়োগকারীদের আজ পর্যন্ত দেইনি এমন কি সরকারের নির্দেশনামার কাগজও গ্রাহকদের সামনে আনছেন না বলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন (এআইবিএল) কেপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস লিঃ কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী একদল সদস্যবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সদস্য মোঃ শাহিন খান,গোলাম গফফার জোহা,মনিরুল ইসলাম,বঙ্কিম চন্দ্র হালদার,কামরুজ্জামান খান,এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান,মোঃ মোসারেফ হোসেন ও মোঃ আনিসুর রহমান সহ প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ সদস্য মনোয়ার হোসেন তালুকদার (জিপু) বলেন, আমরা সরল বিশ্বাসে একাউন্ট খোলার কাগজের সাথে লোনের ফরমের কাগজ মনের অজান্তে স্বাক্ষর করে নেন আমরাও সরলতা-বিশ্বাসে স্বাক্ষর করি।
এমন কি লোন সংক্রান্ত আমাদের কোন ধারনা ছিল না সেই দূর্বলতার সুযোগ গ্রহন করে সকল সদস্যকে লোনের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে।
যার ফলে আমাদের রক্ষিত অর্থ কর্তনে আমাদের অজ্ঞতা, অসতর্কতা, সিকিরোটি এক্সচেঞ্জের দায়িত্বহীনতার এআইবিএল লোভিমন পরিচয় দিয়ে আমাদের রক্ষিত অর্থ নিজেদের পরিনত করেন।
তিনি আরো বলেন আমরা এখন আল-আরাফা ব্রোকার হাউজ কর্তৃক প্রতরনার ফাঁদে অর্থ হারিয়ে নিরবে,নিবৃত্তে আমাদের কথা বলার ক্ষমতা ছিল ফাঁসির কার্যকর করা ব্যাক্তির মত।
এছাড়া বন্ধকালীন বিধান অনুযায়ী আমাদের চাওয়া পাওয়ার বিধান ভঙ্গ করে লিংক ভিউ একাউন্ট করা থেকে বিরত রাখেন।
এমনকি আমরা ১১ সালে ১লা জানুয়ারী আমাদের সেয়ার বিক্রি করার নির্দেশ প্রদান করি। বর্তমান সময়ের মত সকল বিষয় বিরত থাকেন।
তারা আমাদের অর্থ তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে টাকার পাহার গড়ে তুলছেন। তারা সার্ভারে জটিলতা দেখিয়ে শেয়ার বিক্রয় করা থেকে বিরত রেখে আমাদের সর্বশান্ত করেছেন।
এদিকে এখন তারা বর্তমানে নতুন বিনিয়োগকারীদের অর্থ তসরুফ করার পরিকল্পনায় নিয়ে আমাদের শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করা থেকে বিরত রাখেন।
এবিষয়ে আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,স্বরাস্ট্র মন্ত্রী, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ,বাংলাদেশ ব্যাংক,মানবাধিকার সংস্থা ও শেয়ার সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দপ্তরে লিখিতভাবে অবহিত করেছি।
জিপু লিখিত বক্তব্যতে আরো বলেন আল-আরাফা ব্রোকার আমাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রনদনা থেকে বঞ্চিত করার পরও তারা ২০১১ সালে থেকে ২১ সাল পর্যন্ত পর্যায়েক্রমে প্রতিটি ভিও একাউন্টের সমন্বয় হওয়ার পূর্বেই অর্থ কর্তনে অব্যাহত আছেন।
এব্যাপারে আমরা ২৪ই অক্টোবর ও ৫ই নভেম্বর প্রেরিত পত্রের মাধ্যমে পাঠনো উত্তর এখনো পাইনি। তারা আমাদের দাবী মৌখিকভাবে অযৌত্তিক বিভ্রান্তি প্রচার করছেন।
এব্যাপারে বরিশাল আল-আরাফা ব্রোকার হাউজ ম্যানেজার মনিরুজামানের মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন এখন লেন-দেনের সময় একটু ব্যাস্থ আছি আপনি আমার অফিসে দেখা করেন।